• E-paper
  • English Version
  • মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৬ অপরাহ্ন

×

অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের সহজ ম্যাচ

  • প্রকাশিত সময় : শনিবার, ২২ জুন, ২০২৪
  • ৪০ পড়েছেন

ড. সাঈদুর রহমানের কলামঃ
গ্রুপ-২ এ দক্ষিণ আফ্রিকা দুই ম্যাচ খেলে দুটিতেই জয়লাভ করায় সেমিফাইনাল এখন তাদের হাত ছোঁয়া দূরত্বে। নিজেদের শেষ ম্যাচে তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে জয়লাভ করলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে উত্তীর্ণ হবে। আর পরাজিত হলেও তাদের সামনে সম্ভাবনা থেকে যাবে। তবে সেক্ষেত্রে গ্রুপের অন্য ম্যাচগুলোর ফলাফলের জন্য তাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে। আজ যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ড জয়লাভ করলে তাদের পয়েন্টও হবে দক্ষিণ আফ্রিকার সমান ৪। সেক্ষেত্রে সোমবার দক্ষিণ আফ্রিকা-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের উপর অনেক কিছু নির্ভর করবে। সেই ম্যাচে যদি দক্ষিণ আফ্রিকা জয়লাভ করে, তাহলে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ইংল্যান্ড চলে যাবে সেমিফাইনালে। আর যদি ওয়েস্ট ইন্ডিজ জয়লাভ করে, তখন দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ – এই তিন দলের পয়েন্ট হবে সমান ৪ করে। সেক্ষেত্রে নেট রানরেটের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে কোন দুটি দল সেমিফাইনালে খেলবে। এই হিসাবটি মাথায় রেখে আজ যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ড বড় স্কোর করার চেষ্টা করবে। আগে ব্যাট করলে তারা চেষ্টা করবে ২০০ বা তার বেশি রানের ইনিংস খেলতে। আর পরে ব্যাটিং করলে চেষ্টা করবে যত দ্রুত সম্ভব প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের রানকে টপকে যেতে। যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে এসে সুপার এইটে উঠেই চমক দেখিয়েছে। সুপার এইটের দুটি ম্যাচ খেলে দুটিতেই তারা পরাজিত হয়েছে। কিন্তু তাতে কিছু যায় আসে না। সুপার এইটে খেলতে পারাটাই তাদের জন্য অনেক বড় সাফল্য। যুক্তরাষ্ট্রের এই সাফল্য এবং প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়া- এই দুইয়ে মিলে যুক্তরাষ্ট্রে যদি ক্রিকেট আরো প্রসারিত হয়, তাহলে তা’ বিশ্ব ক্রিকেটের জন্যই ভালো।

আজ দিনের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া মুখোমুখি হবে আফগানিস্তানের। অস্ট্রেলিয়া শক্তির বিচার আফগানিস্তানের চেয়ে অনেক অনেক এগিয়ে। ফলে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের সম্ভাবনাই বেশি। ২০২৩ সালের আইসিসি ওডিআই বিশ্বকাপে আফগানিস্তান অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ২৯১ রান করেছিল। ২৯২ রানের লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ৯১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে। অস্ট্রেলিয়ার অতি বড় সমর্থক‌ও তখন অস্ট্রেলিয়া নিশ্চিত পরাজয় বরণ করবে বলে ধরে নিয়েছিলেন। কিন্তু গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এক হাতে অবিস্মরণীয় ডাবল সেঞ্চুরি করে সেই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার জয় এনে দিয়েছিলেন। ডেভিড ওয়ার্নার এবং ট্রাভিস হেড – অস্ট্রেলিয়ার এই দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান‌ই এখন দারুণ ছন্দে রয়েছে। যে কোনো দলের বোলিং আক্রমণকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করার ক্ষমতা তাদের রয়েছে। মার্কাস স্টয়নিস নিঃসন্দেহে এবারের বিশ্বকাপের সেরা অলরাউন্ডার। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মিচেল মার্শ, টিম ডেভিড – সবাই বিধ্বংসী ব্যাটিং করতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের মধ্যে মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজল‌উড এবং প্যাট কামিংস – যেকোনো দলের ব্যাটিং লাইনআপের জন্য হুমকিস্বরূপ। প্যাট কামিংস গত ম্যাচেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করেছেন। এডাম জাম্পাও দারুণ কার্যকর একজন স্পিনার। অন্যদিকে আফগানিস্তানের টিকে থাকার জন্য জয়ের কোন বিকল্প নেই। নিউজিল্যান্ডকে বিধ্বস্ত করে এবার বিশ্বকাপে তাদের যাত্রা শুরু।  কিন্তু গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে এবং সুপার এইটের প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে পরাজিত হয়ে কিছুটা হলেও তারা এই মুহূর্তে হতোদ্যম হয়ে পড়েছে। তাদের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান রহমানুল্লাহ গুরবাজ এবং ইব্রাহিম জাদরান ভালো ছন্দে রয়েছেন। তবে গুলবদিন নাইব, আজমতুল্লাহ ওমরজাই এবং মোহাম্মদ নবীকে আরো কার্যকর হতে হবে। দলের প্রয়োজনে আরো বেশি অবদান রাখতে হবে। তাদের বোলারদের মধ্যে ফজলহক ফারুকী এই মুহূর্তে দারুণ ছন্দে রয়েছেন। ১৫ উইকেট নিয়ে এবারের বিশ্বকাপে এখনো পর্যন্ত তিনি সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক। তার কাছাকাছি যে তিনজন বোলাররয়েছেন, তারা সবাই ১১ উইকেট করে পেয়ে তার চেয়ে অনেক পিছিয়ে রয়েছেন। কিন্তু নাভিন-উল-হক এর কাছ থেকে ফজলহক ফারুকী সেই ভাবে সাপোর্ট পাচ্ছেন না। রশিদ খান ভারতের বিরুদ্ধে ভালো করেছিলেন। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জিততে হলে তাকে অবশ্যই বিশেষ কিছু করে দেখাতে হবে। অস্ট্রেলিয়ার জয়ের সম্ভাবনা যত‌ই বেশি হোক, আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সতর্ক না থাকলে বিপদ হতে পারে।

লেখক: জাতীয় ক্রীড়া ভাষ্যকার, বেতার ও টেলিভিশন।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA